বিজেপির ব‍্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা , মারপিট

17th November 2020 2:07 pm হুগলী
বিজেপির ব‍্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা , মারপিট


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : ব্যানার ছেড়াকে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ আদিসপ্তগ্রাম বিধানসভার রেনেরপাড়ে। কৃষি বিলের সমর্থনে বিজেপি কর্মীরা কিছু ব্যানার লাগায় আদিসপ্তগ্রাম বিধানসভার বেস কিছু এলাকায় সেই ব্যানার ছিড়ে দেয় বলে অভিযোগ বিজেপির।  এলাকার বিজেপি নেতা কর্মীরা বিষয়টি নজরে আসতে পোলবা থানার গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে বিজেপি নেতারা। অভিযোগ জানিয়ে বাড়ি ফিরতেই রাস্তাতে সোমবার রাতে বিজেপি কর্মীদের উপর লাটি সোটা নিয়ে চড়াও হয় একদল তৃণমূল আশ্রীত দূষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ বিজেপির। দুপক্ষের মধ্যে চলে মারপিট, এই ঘটনায় বিজেপির দুজন কর্মী মাথা ফেঁটে গুরুতর আহত হয়। রাতে তাদের বিজেপির নেতা কর্মীরা মগরা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে আহতদের কর্মীদের চুঁচুড়া শদর হাসপাতালে স্থানান্তরীত করে। আহত কর্মীদের নাম সন্তু বাউল দাস ও খোকন দাস। এখন তারা চুঁচুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ সকাল ১১টা নাগাত তাদের হাসপাতালে দেখতে যান বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি কল্যান বোলেল  জেলার স্বাস্থ সেলের কনভেনার রবীন ঘোষ আদিসপ্তগ্রাম মন্ডলের সভাপতি সোমনাথ মৈত্র সহ অনান্য নেতৃত্বরা। এদিন এ বিষয়ে জেলার সহ সভাপতি কল্যান বোলেল বলেন এই ভাবে বিজেপির উপর আক্রমন করে বিজেপিকে রোখা যাবে না। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি হাড়িয়ে যাচ্ছে তাই এমন আক্রমন চালাচ্ছে। পোলবা থানার পুলিশের কাছে আমদের আবেদন যদি দোষীদের যেনো  অবিলম্বে গ্রেফতার করেন। যদি এরুপ ঘটনা পূণরায় ঘটে তবে আমরা জেলা জুরে আন্দলনে যাবো। অন্যদিকে তৃনমূল হুগলী জেলা তৃনমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন কৃষিবিল কৃষক বিরোধীবিল। সধারন মানুষ এবং কৃষকদের বিপদে ফেলে দেওয়াবিল। এই বিল নিয়ে বিজেপি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সুফল এর কথা। তৃনমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সাথে তৃনমূল জরিত নয়। তৃনমূল কংগ্রেস মারপিট করে না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।